সফল হওয়ার জন্য জীবনের লক্ষ্য লিখুন
‘নিজের জীবনের লক্ষ্য গড়ে তুলুন তারপর সমস্ত মন প্রান তাতে সমর্পন করুন, তা হলে আপনার সফলতা কেউ ধরে রাখতে পারবে না৷'
-বিশ্ববিখ্যাত বিচারক কার্লাইল
বয়স আঠারোই হোক বা একাশি, যদি আপনি নিজের জীবন সুখের সাথে অতিবাহিত করতে চান, ভগবান যে মানব জীবন প্রদান করেছেন যদি তা উপভোগ করতে চান, আনন্দকে জীবনের পাথেয় করে তুলতে চাইলে সবার আগে শান্ত হয়ে বসে নিজের জীবনের লক্ষ্য গুলি লিখে ফেলুন।
‘নিজের জীবনের লক্ষ্য গড়ে তুলুন তারপর সমস্ত মন প্রান তাতে সমর্পন করুন, তা হলে আপনার সফলতা কেউ ধরে রাখতে পারবে না৷'
-বিশ্ববিখ্যাত বিচারক কার্লাইল
বয়স আঠারোই হোক বা একাশি, যদি আপনি নিজের জীবন সুখের সাথে অতিবাহিত করতে চান, ভগবান যে মানব জীবন প্রদান করেছেন যদি তা উপভোগ করতে চান, আনন্দকে জীবনের পাথেয় করে তুলতে চাইলে সবার আগে শান্ত হয়ে বসে নিজের জীবনের লক্ষ্য গুলি লিখে ফেলুন।
কেউ-কেউ মনে করে জীবনের লক্ষ্য লিখে কি হবে?
জীবন তো যেভাবেই হোক কেটেই যাবে তা হলে লক্ষ্য লিখে লাভ কি?
এমন অনেক লোকও আছে যারা ভাবে ভগবান আমাদের জীবনে যা লিখে দিয়েছেন তাই ঘটবে এর বাইরে কিছু হওয়ার নয়। যারা এমন কথা ভাবে তারা যদি একটা সাদা কাগজে নিজেদের লক্ষ্য লিখেও ফেলে, তাতেই বা লাভ কি?
এমন বিচারধারা সম্পন্ন মানুষদের জীবন উদ্দেশ্যহীন ভাবেই কেটে যায়, তারা জীবনে খুশীও খুব কমই উপভোগ করার সুযোগ পায়, কিন্তু আপনি যদি নিজের জীবনকে প্রকৃত আনন্দ দিতে চান তা হলে অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ আজই সেরে ফেলতে হবে, জীবনের লক্ষ্য গুলি একটা কাগজে লিখে ফেলতে হবে। বন্ধু,
সহপাঠি বা আত্মিয়স্বজন যাদের সাথেই লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করা হোক না কেন, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই একটা সাধারণ বিষয় লক্ষ্য করা যায়, তা হল মানুষ অতি শীঘ্রই অপরের জীবনের লক্ষ্য জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে।
আমার মতে যদি আপনি আপনার জীবনকে আনন্দময়, সরস ও সফল করে তুলতে চান তা হলে সবার আগে শান্ত হয়ে বসে নিজের জীবনের লক্ষ্য গুলি লিখে ফেলতে হবে।
অপরের জীবনের লক্ষ্য কি? সে সত্যিই কি নিজের জীবনের লক্ষ্য পূরণ করতে ইচ্ছুক? এই সব ব্যাপার নিয়ে বেশী ভাববেন না, শুধু একটা কথাই মাথায় রাখবেন যে যদি আপনার জীবনে কোনো লক্ষ্য থাকে এবং যদি তা সত্যিই আপনাকে আকর্ষণ করে তবে তা পূরণ হওয়ার পর আপনি কতটা আনন্দ পাবেন, সর্বদা এই চিন্তাই মাথায় রাখুন এবং ঠিক করে নিন যে, যে কোনো মূল্যেই জীবনের লক্ষ্য পূরণ করবেন, কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় হল, বেশীর ভাগ লোকই জানে না যে তাদের জীবনের লক্ষ্য কি।
সুতরাং আজ থেকেই মনে করুন যে আপনার জীবনে এক বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে, এই পরিবর্তন আপনার জীবনে আনন্দ নিয়ে আসবে আপনার জীবনকে লাভ ও খুশীতে ভরিয়ে তুলবে। কিন্তু তার জন্য আপনাকে সবার আগে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে ও মন প্রাণ দিয়ে তা প্রাপ্ত করার চেষ্টা করতে হবে। কোন বয়সে লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন এবং কিভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন এমন বহু প্রশ্নই আপনাদের মনে উঠতে পারে, কিন্তু এই প্রশ্ন গুলি নিয়ে বেশী মাথা না ঘামিয়ে একটা বিষয় স্বীকার করে নিন যে, যে ব্যক্তি জীবনে সফল হতে চায় সেই পারে নিজের লক্ষ্য গড়ে তুলতে।
একটু ভাবুন তো যদি লক্ষ্যই না থাকে তাহলে আপনি জীবনে কিসের পিছনে ছুটবেন? তাই বয়স যাই হোক না কেন সেই নিয়ে না ভেবে শীঘ্রই নিজের লক্ষ্য নির্ধারণের কাজ শুরু করে দিন।
সবার আগে লক্ষ্য নির্ধারনের কাজ করতে হবে, তারপর তা পূরণের জন্য সেই অনুসারে কাজ করতে হবে, যখন মন প্ৰাণ দিয়ে নির্ধারিত কাজ সম্পদানের চেষ্টা করবেন তখন বুঝবেন যে আপনার লক্ষ্য পূরন হবেই। কখনই ভাবেন না যে ভগবান যা চাইবেন আপনার জীবন সেই ভাবেই চলবে। অবশ্যই ভগবানের উপর বিশ্বাস রাখবেন কিন্তু এটাও মনে রাখবেন যে ভগবান তাদেরই সাহায্য করেন যারা নিজেদের সাহায্য করে।
এই কথা মাথায় রেখে যদি আপনি নিজের লক্ষ্য গুলি একটা সাদা কাগজে লিখে ফেলেন তাহলে আপনি একটা সুবর্ণ দিনের সন্ধান পাবেন যা আপনারই পরিকল্পনা দ্বারা গঠিত, যা আপনাকেই নিজের লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যায়।
স্নেহের পাঠকবৃন্দ যদি আপনারা নিজেদের জীবন সুন্দর করে তুলতে চান, যদি রোমাঞ্চকর মুহূর্তের অনুভব করতে চান, যদি অকল্পনিয় খুশী পেতে চান, প্রাপ্তির ভান্ডার পূরণ করাই যদি আপনার একমাত্র আশা হয় তবে আজই একটা সাদা কাগজ নিন এবং শান্ত মাথায় নিজের জীবনের লক্ষ্য গুলি লিখে ফেলুন।
আমার মনে হয় যে, যে সময় কোনো ব্যক্তি নাবালোক থেকে সাবালোক হয়ে ওঠে, তখন থেকেই তাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের যাত্রা শুরু হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে এই যাত্রা পথে পরিবর্তন আসে, কিন্তু সেই সময় থেকেই জীবনের লক্ষ্য লিখে ফেলার কাজ শুরু করতে হবে। এমন বহু পাঠক আছে যারা হয়তো বহু কাল আগেই সাবালোক হয়ে গেছে।
কিছু লোক হয়তো 10-20-30 বছর আগেই সাবালোক হয়ে গেছে। তারা যেন আজই নিজেদের লক্ষ্য লিখে ফেলে অতীতের কথা ভেবে চুপ করে বসে থেকে কোনো লাভ নেই। সবার আগে একটা কথা মাথায় রাখবেন যে, যে দিন আপনি কিছু করার বাসনা নিয়ে নিজের লক্ষ্য লিখে ফেলতে শুরু করবেন সেদিন থেকেই আপনার জীবন শুরু হবে। সুতরাং সাবালোক হওয়ার পর থেকেই নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করার কাজ শুরু করে দিন। আপনি যদি বহু দিন আগেই সাবালোক হয়ে গিয়ে থাকেন তা হলে আজই জীবনের লক্ষ্য লিখে ফেলুন এবং আপনার আশেপাশে যদি কোনো নাবালোক থাকে তাহলে তাকেও জীবন আনন্দময় ও মধুর করে তোলার জন্য উচিত পরামর্শ দিন, তার জন্য তাকেও জীবনের লক্ষ্য লিখে ফেলতে বলুন।
আপনার বয়স যাই হোক না কেন, আপনি পুরুষ বা মহিলা যাই হোন না কেন, জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে অধিকার সবার আছে। আপনি যদি প্রচুর কিছু পেতে চান তা হলে অবশ্যই তা পাবেন কিন্তু তার জন্য কি কি পেতে চান তা লিখে ফেলাটা খুবই জরুরি।
যদি না লেখেন তা হলে জীবনের প্রত্যেক মোড়ে কি পেতে চান তা বুঝবেন কি করে? সুতরাং যে কোনো বয়সের পাঠকদের উদ্দেশেই বলছি যে, সবার আগে নিজের জীবনের লক্ষ্য লিখে ফেলুন। আমার বিশ্বাস যে এবার পাঠকগন নিশ্চই বুঝতে পেরেছে যে, জীবনে লক্ষ্য নির্ধারণ করাটা কতটা জরুরি।
এই বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সফলতা অর্জন জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আগত কুড়ি থেকে তিরিশ বছরের মধ্যে আপনি যদি সফলতার নতুন দিগন্ত রচনা করতে চান তা হলে আজই নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং তারপর প্রতিদিন মন প্রান দিয়ে এই লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করলে তবেই আপনি এই লক্ষ্যের কাছে যেতে পারবেন।
একটু ভাবুন তো যে ব্যক্তি জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণই করেনা তার জীবনে রোমাঞ্চ বলে কিছু থাকে কি? সে একটা রোমাঞ্চহীন জীবন যাপন করে। আপনি যদি একটা আনন্দময়, রোমাঞ্চকর, স্ফূতীদায়ক জীবনের আশা করেন, যদি প্রতি মুহূর্তে উন্নতির দিকে অগ্রসর হোতে চান তা হলে আমার কথা শুনে আজ থেকেই নিজের জীবনের লক্ষ্য লিখে ফেলার কাজ শুরু করে দিন।
যখন লক্ষ্য লেখার সময় আসে তখন বহু লোকের মুখে বারংবার আমি একটাই প্রশ্ন শুনেছি - জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য কি প্রক্রিয়া গ্রহন করা উচিত। কি ভাবে লক্ষ্য লিখতে হবে তাই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কাকে জিজ্ঞাসা করে লক্ষ্য লিখতে হবে? লক্ষ্য নির্ধারণের ব্যাপারে কার-কার সাহায্য নেওয়া উচিত? এর জন্য কতটা সময় দিতে হবে? এমন বহু প্রশ্ন আপনার মনেও উঠবে, কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমি বলতে পারি যে, ভারতের লক্ষ্যাধিক লোককে আমি তাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের ব্যাপারে আমি প্রেরণা দিয়েছি।
আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের কথা হল এদের মধ্যে বহু ব্যক্তিই কল্পনাতীত সফলতা অর্জন করেছে। নিজেদের লক্ষ্য লেখার আগে তারা নিজেরাও এই সফলতার কথা ভাবতে পর্যন্ত পারেনি। হয় তো আপনার ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটছে, কিন্তু তার জন্য আপনার বিব্রত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি আপনাকে কিভাবে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন তা বলে দেব। সবার আগে একান্তে বসে একটা সাদা কাগজে নিজের জীবনের লক্ষ্য গুলি লিখে ফেলুন।
সাধারণত দেখা গেছে যে এক মনে কাজ করলে আধ থেকে এক ঘন্টার মধ্যেই নিজের জীবনের লক্ষ্য গুলি লিখে ফেলা যায়, কিন্তু হে বন্ধু! এই আধ এক ঘন্টার মধ্যে লেখা লক্ষ্যগুলিকেই জীবনের সম্পূর্ণ লক্ষ্য বলে মনে করবেন না। কারণ আমি চাই যে আপনার জীবনের লক্ষ্য যেন বাস্তবেই আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে।
আমার মনে হয় আপনিও তাই চান, যদি আপনার উত্তর 'হ্যাঁ' হয় তা হলে একটু মন দিয়ে আমার কথা শুনুন। আধ এক ঘন্টায় জীবনের যে লক্ষ্য গুলি লিখে ফেলেছেন সে গুলিকেই সম্পূর্ণ সঠিক লক্ষ্য বলে মনে করবেন না, বরং পরের দিন এই লেখা কাগজটি ভালো করে পড়ে নিন। চব্বিশ ঘন্টা আগে আপনি জীবনের যে লক্ষ্য লিখেছেন তার জন্য পুনরায় দু-তিন ঘন্টা সময় ব্যয় করুন, তা পড়ুন ও তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করুন। এতে করে এই তালিকার থেকে কিছু লক্ষ্য কাটা পরবে তার পরিবর্তে নতুন কিছু সংযজিতও হবে। এবার প্রশ্ন ওঠে যে লক্ষ্য লেখার কাজ সমাপ্ত হয়েছে কিনা৷ এমনিতে হয়ে গেলেও লক্ষ্য নির্ধারণের কাগজটি এমন ভাবে বানাতে হবে যাতে ভবিষ্যতে তাতে কোনো রকম পরিবর্তন না হয়।
আমার মতে এমন অবস্থায় একটা দিন মৌন ব্রত পালন করুন, তা কোনো রবিবারই হোক বা অন্য কোনো ছুটির বা অন্য কোনো দিন চব্বিশ ঘন্টা মৌন থাকুন। আজ্ঞে হ্যাঁ, চব্বিশ ঘন্টা মৌন থাকার পর লক্ষ্য লিখে রাখা এই কাগজটি পড়ে দেখুন। কথাটা একটু অদ্ভুত বলে মনে হতে পারে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টির দ্বারা আমি প্রমাণ করে দিতে পারি যে যদি জীবনের লক্ষ্য গুলিকে ঠিক মতন সাজিয়ে নিতে চান তা হলে আপনি যে পেশাতেই নিযুক্ত থাকুন না কেন সেখান থেকে একদিন ছুটি নিন এবং মৌনব্রত পালন করুন। এই চব্বিশ ঘন্টা আপনি যে ভাবে খুশি কাটাতে পারেন কিন্তু মুখ থেকে একটাও শব্দ বার করবেন না। এই চব্বিশ ঘন্টায় আপনাকে একটা কাজ অবশ্যই করতে হবে, আপনি যে কাগজে নিজের লক্ষ্যগুলি লিখে রেখেছেন তা বার-বার পড়ুন তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করুন, একজন শীল্পি যে ভাবে একটা পাথরের মূর্তী গড়ে, সেই ভাবেই আপনি নিজের লক্ষ্যের আকার দেওয়ার চেষ্টা করুন৷ যে লক্ষ্য আপনি আধ এক ঘন্টায় লিখে ফেলেছিলেন এবার তাতে মুলগত পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।
এবার আপনার লক্ষ্য পারবে আপনার জীবনের পথ বদলে দিতে। তা আপনাকে এমন স্থানে নিয়ে যাবে যেখানে আপনি শুধু আনন্দ আর প্রসন্নতাই লাভ করবেন। লক্ষ্য পূরণ করতে চাইলে আজ নয়তো কাল, কাল নয়তো পরশু, আপনাকে জীবনের লক্ষ্য লিখতেই হবে, তার জন্য যদি একটু বেশী সময় দিতেই হয় তাতে ক্ষতি কি? আমার কথা মতন চব্বিশ ঘন্টা মৌন থাকার পরই নিজের লক্ষ্য লিখুন। এ ক্ষেত্রে আপনার মনে হতে পারে যে, একটা অতি ছোটো কাজের জন্য অনেক বেশী সময় দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখবেন যে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের কাজটি এত ছোটো কাজ নয়, তাই আমার মতে চব্বিশ ঘন্টা মৌন থাকার পরই জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। এতে করে আপনার জীবনের একটা কাঠামো আপনার মস্তিষ্কে তৈরি হয়ে যাবে - আপনি কি হতে চান, কি করতে চান, কি পেতে চান, তা একটা লিখিত রূপ পেয়ে গেছে। জীবনের এই লক্ষ্যই আপনার জীবনের মহামন্ত্র হয়ে উঠবে।
শুধু তাই নয় এই লক্ষ্য প্রতিদিন দেখতে হবে, তা সামলে রাখতে হবে,ও তা প্রাপ্ত করার জন্য ক্রমাগত প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। এই ব্যাপারে আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে এবং আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে, যে পাঠক নিজের জীবনের লক্ষ্য কাগজে লিখে ফেলবে, যে তা সামলে রাখবে এবং একাগ্রচিত্তে নিজের লক্ষ্যের ব্যাপারে বিচার করে সেই অনুসারে কাজ করার রাস্তা তৈরি করবে তার ভবিষ্যৎ অবশ্যই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, আগত প্রতিটা দিন তাকে আনন্দ দান করবে। এই ব্যক্তি নিজের লক্ষ্য লিখে ফেলেছে,তা বুঝে গেছে, ক্রমাগত তা পূরণ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে এটা সম্ভব হয়ে উঠেছে। একবার ভেবে দেখুন একদিকে আপনি আছেন যে নিজের জীবনের লক্ষ্য লিখে ফেলার কথা ভেবে নিয়েছে, তা নিয়ে বিচার করার ও তা প্রাপ্ত করার করার ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর।
আর এক দিকে এমন লোক আছে যে লক্ষ্যের উপযোগিতা সম্পর্কেই জানে না এবং সেই ব্যাপারে বিশ্বাসও করে না।এমন ব্যক্তি কেঁদে কেটেই সারা জীবন কাটিয়ে দেয়। সে না কিছু পায় আর না কিছু পাওয়ার কথা ভাবে। এবার আপনি এই দুই প্রকারের ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্যটা কল্পনা করে দেখুন। এক ব্যক্তি যে নিজের জীবনের লক্ষ্য গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে আর এক ব্যক্তি লক্ষ্য সম্পর্কে ভাবেই নি৷ তাই একটা কথা মাথায় গেঁথে নিন যে, আপনাকে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতেই হবে। লক্ষ্য তৈরির পরই তা প্রাপ্ত করার ব্যাপারে এগাতে পারেন। আপনি যদি লক্ষ্য তৈরির কারণ জিজ্ঞাসা করেন তা হলে আমি সোজা কথায় বলব যে, আমরা যে মানব জীবন লাভ করেছি তা সফল বানাতে হলে অবশ্যই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে, তবেই আমরা সফল মানব হয়ে উঠতে পারব এবং সফলতার পথে চলার ক্ষেত্রে কোনো রকম সমস্যাই চোখে পরবে না। অনেক সময় বন্ধুরা বসে নিজেদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করে থাকে কিন্তু তাতে কোনো লাভই হয় না তারা জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে তত গভীর ভাবে ভাবে না। তা শুধু গল্পই হয়ে থাকে।
সত্যি বলতে কি আপনার নিজের জীবন এবং আপনার প্রস্তুত লক্ষ্যই পারে আপনাকে সফল ব্যক্তিতে পরিণত করতে। সময় অনুসারে প্রত্যেককেই লক্ষ্যের ব্যাপারে অল্প বিস্তর পরিবর্তন আনতেই হয়,কিন্তু আপনি নিজের জীবনের যে মুখ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলেছেন আপনার জীবন সেই অনুসারেই চলবে।
No comments:
Post a Comment